ভীতি (২০২২-১১-১৯)
খুশির সঙ্গে ব্যথা কিছু,
চাহনার সঙ্গে ভয়—
এমন জোড়ায়, জীবন যাপন
সাধ্য-সম্ভব হয়।
ব্যথা যাদের লাগে না, তাদের
অঙ্গ খসে পড়ে।
ভয় যারা পায় না, তারা
সবার আগে মরে।
অবিরামের ব্যথা তবে,
অবিরামের ভয়—
দেহে-মনে, জীবন ধরে,
সহনীয় নয়।
******
একজন যাতে দাঁড়িয়ে লড়ে,
আরেক তাতে ছোটে।
একের সাহস, অন্যের ভীতি—
কোথার থেকে জোটে?
তাই দেখো, কেউ খতরে চলে,
ভয় করে না, মরতে।
কি খোরাকে সাহস তার-ই,
যে জানেনা, ডরতে?
বৃদ্ধ যেমন ভয়তে ভরা,
তেমনি কোনো নবীন।
ভয়ের কারণ কি যে—সেটা
বুঝতে পারা কঠিন।
******
জীবন-পথে যখন একা,
বিপদে অস্ত্রহীন,
মনে হয় তখন, শঙ্কার চোটে,
দেহ শক্তিহীন।
আছে কি কোনো ওষুধ-দওয়াই —
ভীতির রোগের ভোজ?
সস্তা হোক, বা যতই দামি—
করা যায় কি খোঁজ?
স্বাসের ধ্যান। ব্যামের সাফাই।
কীর্তন গেয়ে মুক্তি।
প্রতি প্রথায়, শান্তির খোঁজের
ধারার সাথে যুক্তি।
******
যেটা করার, সেটা করা—
এটাও মূলে আছে।
এই শিল্পের দখল পেলে,
শান্তি বুকে আসে।
বাকির সাথে, কি পাওয়া যায়,
পথের দিনে-রাতে?
ক্ষতির চোটের শিক্ষা বটে,
দুঃখ, ভীতির সাথে।
এদের থেকে না পালিয়ে,
সহযাত্রী ব’লে,
মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের,
বসাতে হয় কোলে।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর,
২০২২ খ্রি.
ব্রুক্লিন, নিউ ইয়র্ক