বিদায় খালি হাতে
এসেছিলাম ল্যাংটো হয়ে।
পরেছি কত বেশ।
কিছুদিনে বিদায় নেব।
জীবন হবে শেষ।
দেখেছি কত, শুনেছি কত,
ভেবেছি কত কিছু।
শিখেছি কত, ভুলেছি কত,
খেটেছি কত মিছু।
লোকের মধ্যে কত শ্রেণী,
কত রকম কাজ।
একের ভাগ্য, মেথর হওয়া।
আর এক, মহারাজ।
ফুটপাতে, কার ছাতুর বাসন?
কার, ওই রুপোর থালি?
কার মগজে বিদ্যে এল?
কার মাথাটা খালি?
কারোর হাতে তাসের অভাব,
কেউ তো ছলেই মহান।
খাটনিতে যা ফল পাওয়া যায়,
পায় কি সবাই সমান?
কেউ বা চলে মার্সিডিজে,
কেউ বা চড়ে বাসে।
কারোর শয্যা রাজ মহলে,
কারোর নিদ্রা ঘাসে।
তাও তো সবাই দু পায়ে হাঁটে,
জীবন মাপে, শ্বাসে।
প্রথম কথায়, ‘আম্মা’ বলে,
মায়ের গলায় হাসে।
আহার, জল তো সবারি লাগে,
যতই বিদ্যে পাতে।
শেষ বেলাতে, বাঁচবে কি কেউ
ডিগ্রী, ধন বা জাতে?
কোথায় ধন আর শিক্ষা তখন?
কোথায় বিদ্যে বুদ্ধি?
সারা জীবন খুঁজেও, শেষে
পেলাম না গো শুদ্ধি।
কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে,
কোনটা ঠিক বা ভুল?
এসব ছেড়ে, চলো দেখি—
ভোরের ফোটা ফুল।
প্রথম আলোয়, নতুন করে
জন্ম নিল দিন।
জোয়ার ভাটায়, ভাসিয়ে দিল
গত কালের ঋণ।
বইল সকাল, গেল দুপুর,
দিনের বেলা কাটে।
রাতের আসা দেখব চলো,
গঙ্গা নদীর ঘাটে।
নিজের ভোরে, এসেছিলাম
নগ্ন বেশে, তাই
দিনের শেষে, বিদায় নেব
খালি হাতে, ভাই।
শনিবার, ২রা আর মঙ্গলবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ খ্রি
ব্রুক্লিন, নিউ ইয়র্ক
No comments:
Post a Comment
If you have comments, criticism, suggestions or questions, please write these here.